Sunday, June 3, 2018

শারীরীক সুস্থতা ও দীর্ঘ জীবন লাভে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

Photo by Catt Liu
শারীরীক সুস্থতা ও দীর্ঘ জীবন লাভে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রোগ জীবাণু দূরে রাখতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নেই। সামাজিক ও পারিবারিক ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপরিসিম। পরিবারের প্রতিটি সদস্য যদি ব্যক্তিগত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার নিয়মাবলি অবহিত থাকে এবং নিয়মিত তা মেনে চলে তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই পারিবারিক জীবনও পরিস্কার থাকবে। এজন্য বেশি প্রয়োজন পরিবারের কর্তা ও বয়স্ক সদস্য দের সচেতনতা ও নিয়মাবলিসমূহ মেনে চলার প্রবনতা।

মনে রাখবেন পরিবারের শিশুরা বয়স্কদের অনুকরণ করেই এ শিক্ষাগুলো অর্জন করে। এবং সেই শিশু অন্য শিশু দের সাথে তা ভাগাভাগি করে নেয়। নিজে বা পরিবারের সবাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেই চলবে না আশেপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশিদের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে।

নিপাহ ভাইরাস একটি প্রাণঘাতী রোগ

নিপাহ ভাইরাস একটি প্রাণঘাতী রোগ। বাদুরের খাওয়া ফলমুল খেলে বা বাদুরেরর লালা অথবা প্রশাব দ্বারা সংক্রামিত খেজুরের রস খেলে এ ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে। এপর্যন্ত বেশ কটি মহামারী সংঘটিত হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মোট নয়টি মহামারি হয়েছে বাংলাদেশে। এসব মহামারীতে ১৫৩ জন আক্রান্ত ও তাদের মধ্যে ১১১ জন মানে ৭৩% মানুষ মারা গিয়েছিল ।

আমাদের নিপাহ ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে এখনই সচেতন হতে হবে। নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কোন টিকা নেই,  যেহেতু নিপাহ ভাইরাস সংক্রামিত বাদুরে খাওয়া ফল ও খেজুরের রস থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে তাই কাচা খেজুরের রস ও বাদুরে খাওয়া ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।  খেজুরের রস ভালভাবে ফুটিয়ে নিলে নিপাহ ভাইরাস মরে যায় তাই খেজুরের রস ভালভাবে ফুটিয়ে খেতে হবে। আক্রান্ত রোগির সং¯পর্শে এলে সাবধান থাকতে হবে। ভালভাবে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিতে হবে।

আপনি নিপাহ ভাইরাস সংক্রমন বিষয়ে সচেতন হোন অপরকেও এ বিষয়ে সচেতন করুন। আমাদের সকলের সম্বিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই নিপাহ ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধ সম্ভব।

আমাদের সকলকে আজই বিদ্যুৎ অপচয় রোধে সচেতন হতে হবে


Photo by Jason Blackeye 

বৈশ্বিক উঞ্চায়ন, গ্রিন হ্উাজ ইফেক্ট ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মত নানা সমস্যার সম্মুক্ষিন এখন আমাদের এই পৃথিবী। অন্য দিকে শিল্প বিপ্লব ও ত্রুমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মোকাবেলা করতে গিয়ে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। 



তাই আমাদের সকলকে আজই বিদ্যুৎ অপচয় রোধে সচেতন হতে হবে, এবং অপরকেও সচেতন করতে একসাথে কাজ করতে হবে।

আসুন প্রত্যেকে আজই একটি করে বৃক্ষ রোপন করি


প্রতি বছর আমাদের নানা প্রয়োজনে আমরা লক্ষ লক্ষ গাছ কেটে বনাঞ্চল উজার করছি , যার ফলে বৈশ্বিক উঞ্চায়ন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মত ভয়াভয় প্রাকৃতিক সমস্যার সম্মুক্ষিন হচ্ছি আমরা। 

বাতাসে কার্বনের মাত্রা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু তুলনামূলক হারে বনাঞ্চল কমে যাবার কারণে  বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন অপসারিত হচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বায়ুমন্ডল, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি আমরা। তাই আসুন প্রত্যেকে  আজই একটি করে বৃক্ষ রোপন করি।